সারাদেশ

২২ মামলার আসামি ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার আলীম সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেপ্তার

২৩ মে ২০২৫, ৯:৫২:৪৯

The notorious robber chief Alim, the accused in 22 cases, has fallen into the net of RAB in Siddhirganj.
২২ মামলার আসামি ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার আলীম সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কুখ্যাত সর্দার আব্দুল হালিম ওরফে ‘নাকবোচা হালিম’ ওরফে আলীমকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১১)। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক এবং মানবপাচারসহ মোট ২২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মৌচাক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ এই ডাকাত সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আলীম বরগুনা জেলার সদর থানার আলতাফ চৌকিদারের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন সস্তাপুর (গাবতলার মোড়) এলাকার ব্যবসায়ী ঢাকা টেক্সটাইলের মালিক রেজাউল করিম মালার বসতবাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা, মুখ বেঁধে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ আনুমানিক সাড়ে ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মালার ছেলে আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে৷

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল হালিম ওরফে আলীম এবং তার সহযোগীরা ২০১২ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সক্রিয়ভাবে ডাকাতি করে আসছিল। তাদের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল বিভিন্ন শহরের সচ্ছল এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাসা-বাড়ি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলীম স্বীকার করেছেন যে, তার নেতৃত্বে দলটি গত ২০১২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সংঘটিত প্রায় ১৫টি বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ডাকাত দলে ৭ থেকে ১৫ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। দলের বেশিরভাগ সদস্যই বরগুনা জেলার সদর থানা এবং আমতলি থানার স্থায়ী বাসিন্দা। তবে অপরাধ সংগঠনের জন্য তারা মূলত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং মুন্সিগঞ্জ জেলাকে বেছে নিত।

ডাকাত সর্দার হালিম আরও জানান, ডাকাতির সময় তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতেন। এছাড়াও তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র থাকত, যা তারা লুটপাটের সময় ভয়ভীতি দেখাতে এবং প্রতিরোধ ভাঙতে ব্যবহার করতেন।

র‍্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আলীমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং তার দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর:

বিবিধ