১৭ জুলাই ২০২৫, ২:২৪:৪০
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উত্তাল হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এনসিপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় বাঁশ ফেলে উভয় লেনের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে।
বিকেল ৫টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় শুরু হয় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। এনসিপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কের উভয় লেনে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কের ওপর বাঁশ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম অভিমুখী যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এই অবরোধ চলে। এরপর নেতাকর্মীরা একপাশে সরে গেলে আংশিকভাবে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে পেরেছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা সন্তুষ্ট নই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদের প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমাদের যা যা করণীয়, তা-ই করব।” তিনি আরও যোগ করেন, “আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়ায় তারা বারবার ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে এই অন্যায়ের বিচার আমরা জনগণই করব।”
জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতেই আমাদের কর্মসূচিতে হামলা হয়েছে। এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”
এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আহমেদুর রহমান তনু অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার কী করছে, এটা আমাদের প্রশ্ন। আমরা বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই।”