৯ জুলাই ২০২৫, ২:৫২:০১
জননিরাপত্তা এবং জ্বালানি আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জে অনুমোদনহীন তেল মজুত ও বিক্রির বিরুদ্ধে এক সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জেলার গোদনাইল বাড়ীপাড়া তেলের ডিপো সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৬ অনুযায়ী পরিচালিত এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জ্বালানি তেল জব্দ করা হয় এবং একাধিক মামলায় অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সাতজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দেখা যায়, কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে জ্বালানি তেল মজুত ও বিক্রি করছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এসব প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করা তেলের কোনো বৈধ চালান বা ক্রয় রশিদ প্রদর্শন করা যায়নি। আরও আশঙ্কার বিষয়, অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে জ্বালানি তেল সংরক্ষণ করা হচ্ছিল, যা যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারত।
এছাড়াও, অভিযান দল এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালনার প্রমাণও হাতে পায়।
অবৈধ মজুত ও বিক্রির দায়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচটি মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। একই সাথে, অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জ্বালানি তেল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে: ডিজেল: ১ হাজার ৮০ লিটার,অকটেন: ১০৬ লিটার,ফার্নেস অয়েল: ৬৫০ লিটার,জ্বালানি দ্রব্য বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি ভুয়া চালান রশিদও এ সময় উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত সমস্ত মালামাল পরবর্তীতে মেঘনা অয়েল পিএলসি এবং পদ্মা অয়েল পিএলসির জিম্মায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট জ্বালানি তেল বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৬ এর সকল বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে, ভবিষ্যতে এই আইনের কোনো রকম লঙ্ঘন হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।