পর্যটন

শেনজেনের মত ভিসা চালু করবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

১ জুন ২০২৫, ৭:০০:২৭

ইউরোপের শেনজেন ভিসার মতো থাইল্যান্ড ‘ছয় দেশ, এক গন্তব্য’ নামে একটি নতুন পর্যটন ক্যাম্পেইন চালু করতে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশকে একসঙ্গে যুক্ত করে পর্যটকদের জন্য একটি সহজ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তৈরি করা।

থাইল্যান্ড ছাড়া এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম। তবে ছয় নম্বর দেশটির নাম এখনো জানানো হয়নি।

এই ক্যাম্পেইন চলতি বছরের শেষ দিকে চালু হবে। যেসব দেশ প্রস্তুত থাকবে, তারা আগে এই পরিকল্পনায় যুক্ত হবে। পুরো পরিকল্পনার তদারকি ও বাস্তবায়নের জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় একধরনের যৌথ ভিসা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে দেশগুলোর। যেন একবার ভিসা নিলে সব অংশগ্রহণকারী দেশে ভ্রমণ করা যায়। এছাড়া ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে থাকবে দ্রুত প্রবেশের বিশেষ লেন, যা ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক করবে।

এই প্রকল্পে যা থাকবে

এই উদ্যোগের আওতায় পর্যটকেরা ইচ্ছা করলে খুব সহজে নির্দিষ্ট দেশগুলোর একটি থেকে অন্যটিতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আর থাকবে অনেক আকর্ষণীয় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ।

  • জাহাজ ভ্রমণ: সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার পেনাং, থাইল্যান্ডের ফুকেট এবং ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি—সবকিছু একসঙ্গে যুক্ত থাকবে একটি বিলাসবহুল জাহাজ ভ্রমণে।
  • ঐতিহ্য ভ্রমণ: বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি; যেমন পেরানাকান সংস্কৃতি, বৌদ্ধ স্থাপত্য এবং ঐতিহাসিক শহরগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ।
  • খাদ্য ভ্রমণ: এক দেশ থেকে আরেক দেশে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবার উপভোগের সুযোগ।
  • নিজে গাড়ি চালিয়ে ভ্রমণ: পর্যটকেরা চাইলে নিজেরাই গাড়ি চালিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন নির্দিষ্ট দেশগুলো।
  • ঋতুভিত্তিক উৎসব: উৎসবের সময় বিশেষ ভ্রমণ আয়োজন থাকবে, যাতে দেশগুলোর বিশেষ সংস্কৃতি ঘনিষ্ঠভাবে দেখা যায়।

বিশেষ প্যাকেজ ও সুযোগ

এই প্রকল্পে থাকবে বিশেষ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট প্যাকেজ, যেখানে বিশ্বসেরা মানের খাবার ও নামী হোটেলে থাকার সুযোগ থাকবে। পর্যটকেরা একসঙ্গে এসব সুবিধা একটি প্যাকেজেই নিতে পারবেন।

কবে থেকে শুরু

এই ক্যাম্পেইন চলতি বছরের শেষ দিকে চালু হবে। যেসব দেশ প্রস্তুত থাকবে, তারা আগে এই পরিকল্পনায় যুক্ত হবে। পুরো পরিকল্পনার তদারকি ও বাস্তবায়নের জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

থাইল্যান্ডের এই ‘ছয় দেশ, এক গন্তব্য’ উদ্যোগটি শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, বরং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব, সংস্কৃতি বিনিময় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। এই ক্যাম্পেইন সফল হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘুরে বেড়ানো হবে আরও সহজ, সুন্দর এবং স্মরণীয়।