১৫ জুলাই ২০২৫, ৪:৪৯:৪৪
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ৬৫ জন চিকিৎসককে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। একইসাথে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিতর্কিত নিয়োগের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো পরীক্ষা ছাড়াই চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে— এমন খবর পেয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের নিয়োগের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে যা যা আইনগতভাবে দরকার, আমরা তা-ই করবো। বেআইনি কোনো কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।”
জানা গেছে, গত ২৯ জুন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক অ্যাডহক-ভিত্তিতে ৬৫ জন চিকিৎসকের একটি তালিকা তৈরি করেন। এই তালিকা পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল। তবে, এই নিয়োগে অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি, যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দানা বাঁধছে।
একই অনুষ্ঠানে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ‘জনসংখ্যা নীতি-২০২৫’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, একটি ন্যায্য ও উন্নত বিশ্ব গড়তে তরুণদের ক্ষমতায়ন সবচেয়ে জরুরি। কারণ, তারাই তো দেশের ভবিষ্যৎ, আর একটা সুন্দর সমাজ তৈরিতে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। নূরজাহান বেগম আরও বলেন, তরুণ-তরুণীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক চাহিদা ও সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এতে সমাজে শান্তি আসবে এবং উন্নয়ন দ্রুত হবে। তিনি ‘পছন্দের পরিবার’ গড়ার জন্য সঠিক শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জোর দিয়ে বলেছেন যে, তরুণদেরই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো আধুনিক প্রযুক্তির কারণে ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে যে পরিবর্তন আসছে, তা মোকাবিলায় তরুণদের এখনই প্রস্তুত হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ইউএনএফপিএ-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জাতীয় পর্যায়ে সেরা কর্মী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সম্মাননা দেওয়া হয়।