১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:১৬:৫১
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক নান্নুকে সোমবার (১৪ জুলাই) গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় মোট আটজনকে আটক করা হলো।
জানা গেছে, গত বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে পূর্বপরিচিত কয়েকজন যুবক সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সময় সোহাগকে বিবস্ত্র করা হয় এবং কয়েকজন তার শরীরের ওপর উঠে লাফিয়ে বিভৎস উল্লাসে মেতে ওঠে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহাগ পুরোনো তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারির ব্যবসা করতেন। স্থানীয়দের প্রাথমিক ধারণা, চাঁদাবাজিই এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।
গ্রেপ্তার হওয়া নান্নু, ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাওয়া সেই চারজনের একজন, যারা ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করে সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল। র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কামরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন যে, র্যাব-১১ নান্নুকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নিহত সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, গত রোববার (১৩ জুলাই) সকালে ঢাকা ও নেত্রকোনা থেকে সজীব ও রাজীব নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোহাগের পরিবার জানিয়েছে, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।