১৭ জুন ২০২৫, ১২:২৬:৪৬
প্রভাতী বার্তা, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান তীব্র সংঘাতের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজ (USS Nimitz)। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে এই রণতরীর অপ্রত্যাশিত গতিপথ পরিবর্তনের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
জাহাজ ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘মেরিন ট্রাফিক’-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৬ জুন) সকালে মার্কিন এই রণতরী দক্ষিণ চীন সাগরকে পেছনে ফেলে পশ্চিম দিকে অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ইউএসএস নিমিটজের চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ভিয়েতনামের ডানাং বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। আগামী ১৯-২৩ জুন ভিয়েতনামের দা নাং সফরের অংশ হিসেবে ২০ জুন একটি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনারও আয়োজন করা হয়েছিল, যা আকস্মিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।
একজন কূটনীতিকসহ একাধিক সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওই কূটনীতিক জানান, হ্যানয়ে মার্কিন দূতাবাস তাকে ‘একটি জরুরি অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তার’ কারণে সফর বাতিলের কথা জানিয়েছে। তবে, রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ইউএসএস নিমিটজের মধ্যপ্রাচ্যের দিকে এই গতিপথ পরিবর্তন এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে আকাশপথে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওয়াশিংটন ডিসির স্টিমসন সেন্টারের বিশিষ্ট ফেলো বারবারা স্লাভিন বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হলো এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে এবং আরও বিস্তৃত হবে। ইরান এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক স্থাপনায় মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাই ইরানকে পরাস্ত করার জন্য বিমানবাহী রণতরী এবং অন্যান্য সামরিক গতিবিধির দিকে নজর থাকবে। আমার মনে হয় না ইরানিরা যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে আগ্রহী, যা ইতিমধ্যেই তাদের জন্য বেশ ধ্বংসাত্মক।”
এই পদক্ষেপকে ইরানকে হামলা থেকে বিরত রাখার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।