১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫:১১
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গতি আনতে প্রধান শিক্ষকের ৩২ হাজার শূন্যপদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে নারীবান্ধব করার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এসব নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান, প্রাথমিক শিক্ষায় অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও শিক্ষার মানের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি। বর্তমানে স্কুলগুলোর মূল্যায়ন করে র্যাঙ্কিং করা হচ্ছে এবং পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মূল্যায়নে দেখা গেছে, যে স্কুলগুলোর মান ভালো, সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা এবং সহকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক বড় ভূমিকা রাখে
প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিতে হবে। এ জন্য কয়েকটি ক্যাটাগরি তৈরি করতে হবে, যেখানে বহু বছরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুযোগ থাকবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশও দেন তিনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরির নির্দেশ অন্যতম। তিনি তদবির বা সুপারিশের বদলে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বদলি কার্যক্রম পরিচালনার ওপর জোর দিয়েছেন।
পাশাপাশি, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় অন্তত একজন নারী স্থপতিকে কমিটিতে রাখতে হবে, যাতে মেয়েদের বিশেষ প্রয়োজনগুলো গুরুত্ব পায়।
এছাড়া, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও প্রফেসর ইউনূস গুরুত্বারোপ করেছেন।