৩ জুন ২০২৫, ১১:৩৪:০৫
নারায়ণগঞ্জ: ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) বাঁধ এলাকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে আবারও কোমর বেঁধে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির তালতলা ক্লাব এলাকা থেকে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ডিএনডি খালের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ডিএনডি প্রকল্পের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও, সেনাবাহিনীর তড়িৎ পদক্ষেপে ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পানি অপসারণ সম্ভব হয়েছে। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী মেজর এস.এম সাকিব আজওয়াদ সাংবাদিকদের জানান, খালগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকায় পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “প্রতি বছরই এসব খাল পরিষ্কার করা হলেও স্থানীয়দের অসচেতনতার কারণে সেগুলো আবারও ময়লায় ভরে যাচ্ছে।” সিদ্ধিরগঞ্জের কংশ নদী, যা এখন খালে পরিণত হয়েছে, তার বর্তমান অবস্থাকে তিনি এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। গত বছর বর্ষার আগেও এটি পরিষ্কার করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
মেজর আজওয়াদ ডিএনডি এলাকাবাসীর প্রতি প্রকল্পের দীর্ঘস্থায়ী সুফল নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খালগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয়দের ময়লা ফেলে খাল ভরাট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আনতে পারে।
এছাড়াও, তিনি জানান যে ডিএনডি প্রকল্পের বাইরেও নারায়ণগঞ্জের কিছু নিচু এলাকা যেমন ফতুল্লার লালপুর, ইসদাইর, গাবতলী এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়। যেহেতু এই এলাকাগুলো ডিএনডি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই সেখানে জলাবদ্ধতা নিরসনে আলাদাভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর এই নিরন্তর প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে, প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।