১৩ জুলাই ২০২৫, ৯:৫১:২৫
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বাহিনীটির পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত খুনিরা যে দলেরই হোক না কেন, কাউকেই কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না এবং প্রত্যেক অপরাধীকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বার্তায় এই কঠোর অবস্থানের কথা জানান।
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, “হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” তিনি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মূল অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর অভিযুক্ত তারেক রহমান রবিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
তালেবুর রহমান আরও জানান, তদন্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, যা জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সহায়ক হচ্ছে। এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে রবিন নামে এক আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং টিটন গাজী নামে আরেক আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপি অবশ্য উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ডিসি তালেবুর রহমান এটিকে ‘তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, এটি মোটেই কাম্য নয়।
ডিএমপি সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচারে যুক্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অঙ্গীকার স্পষ্ট: অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার লোমহর্ষক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।