১৫ জুন ২০২৫, ৩:৩৮:৫২
প্রভাতী বার্তা ডেস্ক: চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের কর্মীরা। রোববার (১৫ জুন) সকাল থেকে মহাখালীতে তারা স্লোগান দিচ্ছেন এবং দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কোভিড মহামারীর সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিলেও এখন তারা অবহেলার শিকার বলে অভিযোগ ইআরপিপির কর্মীদের। আব্দুর রহমান ও আবু সুফিয়ান নামের দুই কর্মী জানান, ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের নিয়োগ দেয় এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পেতেন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত থাকলেও, বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও, ২৫ মে তাদের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এটিকে তারা “চরম অন্যায়” হিসেবে দেখছেন।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের মতো দক্ষ জনবলকে বাদ দিয়ে নতুন লোক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে, যা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। তাদের দাবি, তারা বাংলাদেশি এবং কোনো জুলুম মেনে নেবেন না।
ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় মোট ১০০৪ জন কর্মী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৬ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ৮০ জন মেডিকেল অফিসার, ৩০ জন ল্যাব কনসালট্যান্ট, ১৫০ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স, ১২৬ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ১৯০ জন ডেটা অপারেটর, ৫১ জন ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, ১০৪ জন ওয়ার্ড বয়, ১০৩ জন আয়া এবং ১৫১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৫৯ জন ঢাকায়, ১৫৩ জন বিভিন্ন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে এবং ৫৯২ জন জেলা শহরে কোভিড ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সরকারের অর্থায়নে দক্ষ হয়ে ওঠা এই কর্মীরা বলছেন, তাদের ছেঁটে ফেলার এই প্রয়াস শুধু অমানবিকই নয়, বরং পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র।