২৪ মে ২০২৫, ১২:৪৪:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক,নারায়ণগঞ্জ: ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা দরজায় কড়া নাড়ছে। মুসলিম উম্মাহর এই অন্যতম প্রধান উৎসবকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানির প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (এনসিসি) নগরবাসীর সুবিধার্থে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই বছর নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোট ১৭টি অস্থায়ী হাট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে নগরীর যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে মূল সড়কের ভেতরে কোনো হাট থাকছে না বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার, সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূর এ কুতুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়।
দরপত্র প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুযোগ:
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অস্থায়ী পশুর হাটগুলোর ইজারার জন্য আগ্রহী ব্যবসায়ীদের জন্য দরপত্র বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আগামী ২৫ ও ২৬ মে দরপত্র বিক্রি করা হবে। আগ্রহী ইজারাদারগণ এই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী অনুসরণ করে দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। সংগৃহীত দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ মে। একই দিনে বিকেল সাড়ে তিনটায় দরপত্র বাক্স খোলা হবে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে চূড়ান্ত ইজারাদার হিসেবে নির্বাচন করা হবে। সিটি কর্পোরেশন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে হাট ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আশাবাদী।
কোথায় বসবে এই হাটগুলো? এক নজরে দেখে নিন:
নগরবাসীর কোরবানির পশু ক্রয়ের সুবিধার্থে সিদ্ধিরগঞ্জ, কদমরসুলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এই হাটগুলো স্থাপন করা হবে। নিচে এলাকাভিত্তিক হাটের তালিকা দেওয়া হলো:
সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চল:
১ নম্বর ওয়ার্ড: সিআই খোলা বালুর মাঠ।
৩ নম্বর ওয়ার্ড: সাজু ডেভেলপারের খালি জায়গা (সাবেক বিডিডি এল-এর স্থান)।
৪ নম্বর ওয়ার্ড: মনোয়ারা জুট মিলের উত্তর পাশে নুরুল হুদার খালি জায়গা।
৫ নম্বর ওয়ার্ড: বটতলা বালুর মাঠ।
৬ নম্বর ওয়ার্ড: এসও রোড টার্মিনাল সংলগ্ন সালাউদ্দিনের খালি জায়গা।
৭ নম্বর ওয়ার্ড: নাভানা সংলগ্ন কাশেমপাড়ার খালি জায়গা।
৯ নম্বর ওয়ার্ড: জালকুড়ি ওয়াপদা রোডের ডিএনডি খাল সংলগ্ন খালি জায়গা এবং একই ওয়ার্ডের জালকুড়ি ডাম্পিং স্পট সংলগ্ন খালি জায়গা।
১০ নম্বর ওয়ার্ড: গোদনাইল ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলের খালি মাঠ।
কদমরসুল অঞ্চল:
১৯ নম্বর ওয়ার্ড: সামিট পাওয়ার প্ল্যান্টের পেছনের খালি জায়গা।
২০ নম্বর ওয়ার্ড: সোনাকান্দা মাঠের পশ্চিম পাশের খালি জায়গা।
২৩ নম্বর ওয়ার্ড: পূর্বপাড়া লতিফ হাজীর মোড় সংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন খালি জায়গা এবং একই ওয়ার্ডের সমরক্ষেত্রের মাঠ ও আলী আহাম্মদ চুনকা সড়ক কাবিলার মোড় সংলগ্ন কাশেম জামালের খালি জায়গা।
অন্যান্য স্থান:
২৪ নম্বর ওয়ার্ড: কাইতাখালি গোলন্দাজের খালি জায়গা।
২৫ নম্বর ওয়ার্ড: চৌরাপাড়া এলাকার খালি জায়গা এবং একই ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষণখোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা।
সিটি কর্পোরেশন আরও জানিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি এবং জনসাধারণের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে এই হাটের সংখ্যা প্রয়োজনে বাড়ানো বা কমানো হতে পারে। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো, নগরবাসী যেন কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের কোরবানির পশু কেনাকাটা করতে পারেন।