১৫ জুন ২০২৫, ৪:৪৫:২২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, প্রভাতী বার্তা: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান তীব্র সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আমেরিকান জনগণের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। ইংরেজিতে দেওয়া এই বার্তায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের লড়াইয়ে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইরানকে ‘যৌথ শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
নেতানিয়াহুর এই ভিডিও বার্তাটি শুরু হয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি গত ২৫০ বছর ধরে ‘স্বাধীনতা রক্ষায়’ কাজ করে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ভিডিওতে নেতানিয়াহু দাবি করেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ‘স্বৈরাচারী শাসনের’ বিরুদ্ধে লড়াই করে ইসরায়েলও স্বাধীনতা রক্ষা করছে। তিনি বলেন, “তারা (ইরান) আমাদের শত্রু, আপনাদেরও শত্রু। আমরা যা করছি, তা এমন এক হুমকি মোকাবিলায় যা দেরিতে হোক বা তাড়াতাড়ি, সবার ওপরই আসবে।”
নেতানিয়াহু আরও দাবি করেন যে, ইসরায়েল যদি এখন পদক্ষেপ না নিত, তাহলে ইরান হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো গোষ্ঠীগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র দিত। তবে, এই দাবির পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেননি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমেরিকান জনগণ এবং বিশ্বের বহু দেশের স্পষ্ট সমর্থন নিয়ে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত ইরানের ২০ জন সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করেছে এবং ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে ইরান এর চেয়েও কঠিন প্রতিশোধ নেবে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নির্ধারিত পারমাণবিক আলোচনা বাতিল হয়েছে। ওমান জানিয়েছে, ইরান এই আলোচনাকে ‘অযৌক্তিক’ অভিহিত করে তাতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নেতানিয়াহুর এই বার্তা এমন এক সময়ে এলো যখন তিনি একটি বাঙ্কারে ইসরায়েলি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরান ও ইসরায়েলের এ সংঘাতে সরাসরি জড়িত না হলেও, নেতানিয়াহুর বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিনিদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ চাইছেন।