সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি’ কর্মসূচির আওতায় উচ্ছেদ অভিযান, ৫০০-এর বেশি স্থাপনা অপসারণ

১৬ মে ২০২৫, ১২:৩১:২৫

নারায়ণগঞ্জে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি’ কর্মসূচির আওতায় উচ্ছেদ অভিযান, ৫০০-এর বেশি স্থাপনা অপসারণ

প্রবাতী বার্তা ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা শত শত অবৈধ দোকান ও স্থাপনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ( ১২ মে ) সকাল থেকে শুরু হয় প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান। বুলডোজারে একে একে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা দোকানপাট।

উচ্ছেদ অভিযানে নানা মালামাল সরাতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের ও স্থানীয়দের। অনেকে নিজের মালপত্র রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান। সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল মোরশেদ, কাঞ্চপুরের সহকারী ভূমি কমিশনার শেখ উক্তার মেজামিন, সোনারগাঁ থানার ওসি মোহিউদ্দিন রহমান এবং কাঞ্চপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ।

অভিযান ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন৷

ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, “মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় দীর্ঘদিন ধরেই যানজট ছিল। বারবার উচ্ছেদের পরও অবৈধ দোকানদাররা আবার বসে পড়ে। জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি’ কর্মসূচির আওতায় আমরা আবার অভিযান চালাচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, “জনস্বার্থে, জনদুর্ভোগ লাঘব ও মহাসড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল নিশ্চিত করতেই এই অভিযান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ এই মহাসড়ক ব্যবহার করে, কাজেই কয়েকজনের অবৈধ সুবিধার জন্য সবাই কষ্ট পাবে—তা হতে দেওয়া যায় না।”

অভিযান শেষে এলাকাটি অনেকটাই ফাঁকা ও পরিপাটি দেখা যায়। দেখা গেছে, বন বিভাগের একটি সাইনবোর্ড, যা আগে অবৈধ দোকানপাটে ঢেকে গিয়েছিল, সেটিও আবার দৃশ্যমান হয়েছে। এমনকি একটি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসন আশা করছে, এই পদক্ষেপে যানজট কমবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে। অনেকে বলছেন, “জনস্বার্থে এমন উদ্যোগ আরও নিয়মিত হওয়া উচিত।”

এ উচ্ছেদ অভিযান সোনারগাঁবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথ তৈরি করেছে বলে অভিমত স্থানীয়দের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।