জাতীয়

প্রতিরক্ষা শিল্পে বাংলাদেশের পাশে তুরস্ক: কারিগরি সহায়তার আশ্বাস

৯ জুলাই ২০২৫, ১:৪৮:৪৮

Turkey stands by Bangladesh in the defense industry: assurance of technical assistance
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান অধ্যাপক হালুক গোরগুন (ছবি : পিআইডি)

বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান হালুক গরগুন বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সম্ভাব্য কারিগরি ও কৌশলগত সহায়তার জোরালো আশ্বাস দিয়েছেন। এই সফর দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ: মঙ্গলবার বিকেলে হালুক গরগুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, এই উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তুরস্কের আগ্রহের গভীরতা প্রকাশ করে।

সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা: সকালবেলা হালুক গরগুন সেনা সদরে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানিয়েছে, এই সাক্ষাতে দুই দেশের বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময়ই হালুক গরগুন বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে সম্ভাব্য কারিগরি ও কৌশলগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। সেনাপ্রধানও তুরস্কের সহযোগিতায় দেশে বিভিন্ন আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরি এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

একই দিনে হালুক গরগুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, এই সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে কারিগরি সহায়তা এবং প্রযুক্তি আদান-প্রদানসংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র ও সুদৃঢ় সম্পর্ক: তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার এই উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরের মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিকীকরণ এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। এই সফর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের পাশাপাশি দুই রাষ্ট্রের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে উভয় পক্ষই আশাবাদী।

আরও খবর:

বিবিধ